এবিএনএ : মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক জন ব্রেনান বলেছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিলেও সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ‘ওয়াটার বোর্ডিং’সহ তথাকথিত ‘প্রবলতর জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল’ আর ব্যবহার করা হবে না।
সিআইএ-প্রধানের এ মন্তব্য দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেন, জয়ী হলে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাতিল করা ওয়াটার বোর্ডিং ও আরও অনেক খারাপ জেরার পদ্ধতি আবারও চালু করবেন তিনি। এমনকি ট্রাম্পের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ সিনেটর টেড ক্রুজও জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াটার বোর্ডিংকে নির্যাতন মনে করেন না। ক্রুজ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য যেকোনো কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল ব্যবহার করবেন তিনি।
ওয়াটার বোর্ডিং বিষয়ে এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিআইএ পরিচালক বলেন, ‘এ ধরনের পদ্ধতি ও কৌশল চালু করতে আমি রাজি হব না, কারণ এই সংস্থার টিকে থাকার দরকার আছে।’ একই সঙ্গে জেনে রাখা ভালো, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট চাইলে সিনেটের অনুমোদন নিয়ে সিআইএর নতুন পরিচালক নিয়োগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নির্যাতনমূলক জেরার কৌশল ওয়াটার বোর্ডিং ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তুলে নিয়েছিলেন। ওয়াটার বোর্ডিং পদ্ধতিতে বন্দীর মুখ তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নাক-মুখের ওপর পানি ঢালা হয়। এর মাধ্যমে বন্দীর মনে পানিতে ডুবে মরার আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়।